#আপনার_সন্তানকে_বাঁচাতে_হলে_লেখাটি_অবশ্যই_আপনাকে_পড়তে_হবে
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছেলের গোটা মুখ ফুলে উঠেছে এবং সে যন্ত্রনায় খুব কাঁদছে। তখন সকাল ৬টা হবে। আমার স্ত্রী এবং আমি কি হল এটা ভেবে ভেবে কিছুই কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে হসপিটালে গেলাম। ডাক্তার পরীক্ষা করে কিছু ওষুধ দিলো (Atrax এবং Rantac)। দু-এক দিন বাদে ছেলে ভালো হয়ে গেল।
আমরা ভাবলাম এটা বোধহয় কোনো ধরণের এলার্জি বা কোনো পোকার কামড় থেকে হয়েছিল। কিন্তু না, এটা বারবার হতে থাকলো। প্রতিসপ্তাহে একবার করে এই এক জিনিস হতে থাকলো। আমরা সবকিছু পরীক্ষা করলাম যেমন – এলার্জি টেস্ট, ব্লাড টেস্ট এবং আরো যা যা করানো সম্ভব ছিল আমাদের পক্ষে। কিন্তু কোনো টেস্ট থেকে কিছুই পাওয়া গেল না।
ঘটনাটা এক বছর ধরে চলতে থাকলো। আস্তে আস্তে আমাদের অবস্থাও খুব খারাপ হতে থাকলো। কারণ এটা যতবার হয়, ততবার ছেলেটা আমাদের চোখের সামনে যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে। তখন ডাক্তারবাবু আমাদের বললেন, ছেলে কী কী খাবার খাচ্ছে সেদিকে খুব ভালো করে খেয়াল রাখতে এবং ও যা যা খাচ্ছে সেই সমস্ত কিছু যেন নোট করে রাখা হয়।
ঠিক দুসপ্তাহ বাদে আমরা রোগের মূলকারণ আবিষ্কার করলাম এবং সেটা হল KINDER JOY। প্রায় একবছর হয়ে গেছে আমরা ওকে Kinder Joy খেতে দিইনি। এখন ও পুরোপুরি সুস্থ আছে।
দিন দুয়েক আগে আমি The Times of India কাগজে পুরো পাতা জুড়ে Kinder Joy এর বিজ্ঞাপন দেখে ভাবলাম, এই ঘটনার কথা আপনাদের জানানোর খুব দরকার আছে। যাতে আপনার বাচ্ছা যেন এই বিষ আর কোনোদিন না খায়।
Kinder Joy পৃথিবীর বহু দেশে নিষিদ্ধ। আমাদের দেশে হয়তো নিষিদ্ধ হবে বা হবে না। কিন্তু আপনার বাচ্চার নিরাপত্তার জন্য, আপনি অবশ্যই একে নিষিদ্ধ করুন।
লিখা: সংগৃহীত (লেখকের নাম জানলে জানাবেন,আমরা কার্টেসী এড করে দিবো)
#ফ্যানপোস্ট
https://www.facebook.com/nari.meye/posts/2897904170459228
এইটার কোন সত্যতা আছে?
Share
answered by Pulak Mandal
যেকোনো কিছুতেই এলার্জিক রিএকশন হতে পারে।
কারো চিংড়ি, ইলিশ, বেগুনে আবার কারো বাদাম, কাঁকড়া এমনকি ঝালমুড়ি, পেয়াজুর কোন একটা উপাদানে ওই বিশেষ ব্যক্তি এলার্জিক হলে এগুলো খেয়ে ও হয়।
আবার অনেকের কোন কোন ওষুধে ও হয়।
সেক্ষেত্রে অতি শিক্ষিত মানুষের হাতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ডাক্তার মার খাওয়ার নজির ও এদেশে আছে।
কার কোন জিনিসে এলার্জি সেটা মনে রাখা খুব ই জরুরি।
ক্ষেত্রবিশেষে মানুষ মারা ও যায়।
যিনি এই পোস্ট টা লিখেছেন তিনি কোন ধরনের খোঁজ খবর না নিয়েই জেনারালাইজড করে লিখেছেন, যেটা বর্তমান সময়ে ভাইরাল হবার একটা অন্যতম উপায়।