এটা কি সত্য?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞানের প্রশ্ন এবং উত্তর বিষয়ক ওয়েইসাইটে লগইন করুন।
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
“Lack of sleep causes the brain to eat itself?”
(সত্যতা যাচাই)
লিখেছে: Trs Tanvir Ahmed
কিছুদিন ধরে একটা ইনফোগ্রাফ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে বলা হচ্ছে “Lack of sleep cause the brain eat itself”
এটার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্রেইন নিজেকে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে! কথাটা শুনে নিশ্চই চমকে উঠেছেন? এ আবার কিভাবে সম্ভব! এমনটা সম্ভব বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। Michele Bellesi, Luisa de Vivo, Mattia Chini, Francesca Gilli, Giulio Tononi এবং Chiara Cirelli.
এই ৬ জন বিজ্ঞানী ২০১৭ সালের ২৪ মে, The Journal of Neuroscience এ নিয়ে তাদের রিসার্চ পেপার পাবলিশ করে। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে তারা যে ফলাফল পান এবং কিভাবে এটি হয় সে বিষয়ে একটু খোলাসা করে বলছি।
আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য নিউরন, সিন্যাপস,নিউরনকে সাপোর্ট দেয়া চার ধরনের গ্লিয়াল সেল বিদ্যমান এটা তো আমরাই সবাই জানি, ঠিক? নিচে তৃতীয় ছবিতে এই চার ধরনের গ্লিয়াল সেলের চিত্র আছে।
প্রতিদিন আমাদের দেহে লক্ষ লক্ষ কোষের মৃত্যু হচ্ছে আবার লক্ষ লক্ষ কোষ তৈরীও হচ্ছে। মৃত কোষ/টিস্যু কে বলা হয় ডেবরিস। আবার আমরা জানি আমাদের দেহে প্রতিদিন মেটাবলিজমে হাজারো বিক্রিয়া হয়। এসব বিক্রিয়ায় কিছু বাই প্রোডাক্ট তৈরি হয়। যেমন ব্রেইনে তৈরি হয় এডেনোসিন। বাই প্রোডাক্টকে ধরতে পারেন একপ্রকার আবর্জনা। তো এইযে ডেবরিস এবং বাই প্রোডাক্ট মস্তিষ্কে তৈরি হলো এগুলো তো দূর করতে হবে তাইনা? এই কাজটা করে Astrocytes নামক এক প্রকার গ্লিয়াল সেল। এদের কাজ মস্তিষ্ক থেকে ডেবরিস, বাই প্রোডাক্ট এগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করা। যে প্রক্রিয়ার এই কাজ করে তাকে বলে ফ্যাগোসাইটোসিস অব এস্ট্রোসাইট। এই কাজটা যখন আমরা ঘুমাই তখন সম্পন্ন হয়।
এখন পোস্টের শুরুর দিকে কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম বলেছিলাম, এখন তাদের এক্সপেরিমেন্টের কথা বলি। তারা তিন প্রকারের ইঁদুর নিয়ে গবেষণা করেছেন।
•যে ইঁদুর ৮ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ ঘন্টার মত ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায় নি।
দেখা গেলো যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায়নি তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ যেখানে যে ইঁদুর দিনে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছে তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ।
এখন Astrocytes বেশি থাকলে ক্ষতি কী প্রশ্ন আসছে মনে তাই না? Astrocytes বেশি থাকলে বেশি ফ্যাগোসাইটোসিস হবে। ফলে সে অনেক বেশি সিন্যাপস(এক নিউরনের সাথে আরেক নিউরনের সংযোগ) কেটে ফেলবে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কের নিজের Astrocyte কোষ মস্তিষ্কের সিন্যাপস কে খেয়ে ফেলাকে বলা হয়েছে Brain Eats Itself.
এখন যারা কম ঘুমায় তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হবে এমনকি গবেষকদল বলেছেন অ্যালজিমা রোগ ও হতে পারে।
আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি। সবশেষে কথা হলো ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষা মানুষের ক্ষেত্রে খাটবে কি-না? জি খাটবে। কারণ ইঁদুর ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। তাছাড়া ইঁদুরের মস্তিষ্কের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যাপক মিল আছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কেও নিউরন, এস্ট্রোসাইট রয়েছে ঠিক মানুষের মতই।
তথ্যসূত্রঃ
1)https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5946929/?fbclid=IwAR3iHpGE1E173MJZD-ZSvi0VVOhqI1phQAylPNWRh7i71zeG7FU8v4DYeto
2)https://www.sciencealert.com/your-brain-starts-eating-itself-due-to-lack-of-sleep
3)https://www.jneurosci.org/content/37/21/5263