motion sickness এর কারন কি?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞানের প্রশ্ন এবং উত্তর বিষয়ক ওয়েইসাইটে লগইন করুন।
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
লিখেছে Abu Rayhan
সোজা কথায়–এটা আপনার শরীরের একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এটাকে বলা হয় Motion sickness. কেন হয়? সবচেয়ে প্রচলিত থিওরী হল এটা হয় স্নায়ু-বিষক্রিয়ার (neurotoxins) বিরুদ্ধে আমাদের শরীর প্রতিরক্ষার জন্য। অনেক ধরনের বিষ আছে যেগুলো আমাদের শরীরে ঢুকলে হ্যালুসিন্যশন সৃষ্টি করে (যেমন ধুতুরা). এটা হলে আমাদের শরীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে বমি করিয়ে সিস্টেম পরিস্কার করতে চায়। গাড়ি চলার সময় আমদের অন্তঃকর্ণ গতি সেন্স করে। কিন্তু আমাদের চোখ সেই গতির সাথে একমত প্রকাশ করে না। যেমন বাসের চেয়ার, লোকজন সব স্থির। তখন আমাদের মস্তিস্ক ধরে নেয় হয় চোখ অথবা কান ভুল দেখছে অথবা ভুল শুনছে। অন্যকথায় হ্যালুসিন্যশন! তার মানে শরীরে স্নায়ূ বিষক্রিয়া হয়েছে! অতএব প্রতিকার স্বরুপ হয় বমি। যদিও বমি করলেও এটা স্নায়ুর ইমবেলেন্স ঠিক হয়না অতএব বমি এবং বমি-বমি ভাব চলতে থাকে। ৩৩% ভাগ লোকের মোটামুটি মুভমেন্টেই মোশান সিকনেস হয়। মুভমেন্ট তীব্র হলে আরো ৩৩% ভাগ লোকের মোশান সিকনেস হয়। বাকি ৩৩% লোকের মোশান সিকনেস হয়না। মানে মোশন সিকনেসকে তাদের স্নায়ু নিউরোটক্সিন হিসেবে ধরে নেয় না।মানে মোশন সিকনেস জনিত কারণে ঘটিত স্নায়ু বিষক্রিয়া ব্যবস্থা তাদের অকেজো!
বিস্তারিতভাবে
গাড়ি চলছে, আর আপনি গাড়িতে বসে আছেন। আপনার চোখ বলছে আপনি স্থির। কারণ গাড়ির ভেতরে সবাই স্থির,।কিন্তু কান বলছে স্থির নয়,কারণ গাড়ির গতি,ধাক্কা,বাম্পিং ইত্যাদি
বিষয়টার গভীরে যাওয়া যাক।
। চোখ তো ঠিকই বলছে, এখন জেনে নেয়া যাক কেন কান এরকম তথ্য দিচ্ছে !
বস্তুত শ্রবণ বাদে কানের আরো একটি খুব গুরুত্বপুর্ন কাজ আছে, যেটা সে তার খুব ছোট্ট একটি অংশের দ্বারা সম্পন্ন করে থাকে। কানের ভেতরের এ অংশটির নাম ভেসটিবুলার সিস্টেম। এখন, এই ছোট্ট অংশটির আবার টিউবের মত তিনটি অংশ আছে যেগুলো তরল পদার্থ দিয়ে পূর্ণ থাকে। আর প্রত্যেকটা টিউবের মধ্যে চুলের মত চিকন আকারের দন্ডায়মান সুতা থাকে। কানের তরল ভর্তি এই টিউবগুলো পুরো শরীরের নড়াচড়ার বিষয়টি বুঝতে পারে। আপনি আপনার শরীর বা মাথা যখন চালনা করেন তখন টিউবগুলোর ভেতরে থাকা চুলগুলোও নড়ে উঠে। যেদিকে আপনার শরীরের গতি যায়, সেদিকেই টিউবের তরল বেকে যায়।
আর তখনই কান আপনার মস্তিস্কের কাছে বার্তা পাঠায় যে আপনি নড়াচড়া করছেন। কানের এই ভেস্টিবুলার সিস্টেম শুধু নড়াচড়ার বার্তাই নয় আপনি লম্বা হয়ে আছেন নাকি সমান্তরাল ভাবে, এ বিষয়টিও সে মস্তিস্ককে যথা সময়ে অবগত করে। সাথে সাথে আপনি কোন দিকে যাচ্ছেন অর্থাৎ সামনে বা পেছনে এসব বিষয়ও সে মস্তিস্ককে জানিয়ে দেয়। যদিও আপনার চোখ সেটা বলতে পারে না বিশেষ করে যখন আপনি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় বই পড়েন বা মোবাইল চালান।তখন চোখ ভাবে আপনি স্থিরই তো আছেন,,কারণ বই স্খির,মানুষ স্থির,আপনি নিজে স্খির।
এর ঠিক বিপরীত জিনিসটিও ঘটতে পারে। অর্থাৎ চোখ মস্তিস্ককে বলছে আপনি নড়াচড়া করছেন কিন্তু আপনার কান বলছে স্থির। যেমন ধরুন, আপনি থিয়েটারে বসে মুভি দেখছেন। থিয়েটারের বিশাল পর্দা মুহূর্তে মুহূর্তে আপনার সামনে তার চিত্রকে এদিক সেদিক করছে। আর স্বভাবতই আপনার চোখ মস্তিস্ককে আপনার চলাচলের বার্তা দিচ্ছে। যেখানে কান তার ভেস্টিবুলার সিস্টেমের মাধ্যমে জানাচ্ছে যে আপনি স্থির।মানে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হচ্ছে সিগন্যাল দ্বারা।
এ সমস্যাই মোশান সিকনেস। গাড়ি চলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্তঃকর্ণেও তরল পদার্থের নড়াচড়া হয়। সে জন্য অন্তঃকর্ণ আপনার মস্তিষ্কে চলার সিগন্যাল পাঠায়। কিন্তু আপনার চোখ বলে, না, আপনি স্থির আছেন; চলছে না কিছুই। এ অবস্থায় ব্রেন বলে, চোখ অথবা অন্তঃকর্ণ- দুটোর যে কোনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে। মনে হয় কোনো বিষাক্ত জিনিস খাওয়ার কারণেই এমন নেশার অবস্থা হয়েছে। সুতরাং বিষাক্ত জিনিস বের করিয়ে দিতে সে বমি করে। বমি হয়।এরকমটা হতো প্রাচীন মানবের মাঝেও। তারা খারাপ কিছু খেলে মস্তিষ্ক ফ্রেনিক নার্ভকে উদ্দীপ্ত করতো,,,ফ্রেনিক নার্ভ উত্তেজিত হলে ডায়াফ্রাম সংকুচিত হয়।আর ডায়াফ্রামের নিচেই আছে পাকস্থলী,, ফলে ডায়াফ্রাম সংকুচিত হয়ে নিচে নেমে পাকস্থলীকে নিম্ন চাপ দেয়।তারপর পাকস্থলীর গাত্রে চাপ লাগায় এটা তার ভেতরের খাদ্য বের করে দেয় চাপকে প্রশমন করতে।
আর গাড়ি যদি smooth গতিতে চলে (প্রাইভেট কার,ট্রেন,বিমান ইত্যাদি) ব্যাপারটা অন্যরকম হবে।
ট্রেন একটা নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে। আর বাস কখনো থামে, আবার কখনো চলে। বাস ইচ্ছামত বাঁক নেয়।ট্রেন অতটা বাঁক নেয়না।ট্রেন তুলনামূলক অনেক smooth গতিতে চলে,,বাম্পিং হয়না বললেই চলে।ধাক্কা খায় না বাসের মত,কোনো স্পিড ব্রেকারে গিয়ে আটকেও যায়না।বারবার এত গতির পরিবর্তন করেনা।
ট্রেনের স্মুথ গতির কারণে এবং বাসের মত ঘনঘন গতি না পাল্টানের ফলে কানের ভেতরের ভেস্টিবিলারের টিউবে থাকা ওই চুলগুলো বাসের মত অতটা আলোড়িত হয়না। ফলে মস্তিষ্ককে সিগন্যাল দেয় আপনি স্থিরই আছেন। বেশি আলেড়িত হলে সিগন্যাল পাঠাতো গতিশীল আছেন।
ফলে ট্রেনে বা বিমানে বা স্মুথ গতির এবং কালো ধুয়া মুক্ত প্রাইভেট কারে জার্নি করলে মস্তিষ্কে দুইরকম সিগন্যাল খুব কম পায়। ফলে গাড়ির ভেতরে আপনি স্থির তা চোখ জানাচ্ছে মস্তিষ্ককে,, আবার অন্তঃকর্ণের ভেতরে বেশি আলোড়নের সিগন্যাল না যাওয়ায় অন্তঃকর্নও মস্তিষ্কের কাছে স্থির আছেন আপনি এরকম সিগন্যাল পাঠায়।ফলে মস্তিষ্ক দুইরকম সংকেত খুব কম পায়।বাসে জার্নি করলে এমন হয়।বাসে জার্নি করলে বাস ড্রাইভার তার মন মত গাড়ি চালায় । ফলে ওসব কারণে কানের ভেতরের ভেস্টিবুলারের টিউবের মাঝে থাকা চুলগুলো বেশি আলোড়িত হয়।
তাছাড়া বাসে কালো ধুয়া,জ্যাম ত আছেই।কালো ধুয়াও মাথা ব্যথার কারণ। যাত্রাপথের স্থায়িত্ব বেশি হলে একটা পর্যায়ে বমি হতে দেখা যায়।ট্রেনে, বিমানে এসব সমস্যা প্রকট নয়।ট্রেনের ইঞ্জিন ত অনেক দূরে থাকে।কালো ধুয়ার প্রভাব কম।ট্রেন যদি বাসের মত বিভিন্ন গতিতে যেতো,কাছে ইঞ্জিন থাকতো,কালো ধুয়া তৈরি করতো এবং বাসে যে সমস্যাগুলো হয় সেসব থাকতো প্রকটভাবে তবে ট্রেনেও বমি হতো।ট্রেনে যে একবারে বমি হয়না তেমন
নয়।তবে তা ব্যক্তিবিশেষে এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়,,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রেনে উপরিক্ত কারণে বমি হয়না।
বিমানে সবচেয়ে কম। কারণ তাতে ত বাইরে তাকানোর সুযোগ কম।সবকিছু মস্তিষ্ক স্থির হিসেবেই দেখে।আর বিমানের গতিও তো স্মুথ অনেক। ফলে বিমানে চলাচল করলে মস্তিষ্কর দুইরকম সিগন্যাল পাওয়ার প্রবণতা খুব কম।
প্রাইভেট কার বেশ স্মুথ গতিতে চালানো হয় তুলনামূলক ভাবে।আর বাসের মত এত ঘনঘন গতি পাল্টায় না।কালো ধুয়ার প্রভাব কম।জায়গা ক্ষুদ্র এবং সিট ব্যাল্টের কারণে ধাক্কার প্রভাবও কম প্রাইভেট কারে।বাসের মত সমস্যা থাকলে প্রাইভেট কারেও বাসের মত বমি হতো।
গতি বাড়ানো, কমানো তেমন কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো উল্টাপাল্টা গতির ফলে একটু পর পর ধাক্কা খাওয়াটা।এর ফলে ভেস্টিবুলারের চুল বেশি আলোড়িত হয়,,কিন্তু গতি বাড়ালে কমালে অতটা আলোড়িত হয়না।
প্রতিকার
ঠিক এই কারণে ড্রাইভার বমি করেনা। কারণ তার মস্তিষ্ক ড্রাইভিং সুষ্ঠুভাবে করতেই মগ্ন,,সিগন্যালের দিকে সাড়া দিতে তার মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকলে চলবেনা।তাকে তার গাড়ি আগে সামলাতে হবে।
সোর্স-
১/
https://www.quora.com/Why-do-I-feel-motion-sickness-in-a-moving-car-but-not-in-a-train-or-aeroplane
২/
https://www.medicalnewstoday.com/articles/176198.php
৩/
https://www.quora.com/Why-do-I-feel-motion-sickness-when-on-the-bus-but-not-when-using-the-train
৪/
https://www.tripsavvy.com/motion-sickness-prevention-and-cure-tips-3149753
৫/
https://bn.diphealth.com/649-what-causes-motion-sickness-1191954-89
৬/
https://bigganbaksho.com/parenting-tips-about-motion-sickness/