Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞানের প্রশ্ন এবং উত্তর বিষয়ক ওয়েইসাইটে লগইন করুন।
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
প্রশ্ন করার বা উত্তর দেয়ার কি কোনো রুলস রয়েছে গ্রুপের মত?
অবশ্যই, খুব দ্রুতই স্টিকি তে রুল আপডেট করে দেয়া হবে।
অবশ্যই, খুব দ্রুতই স্টিকি তে রুল আপডেট করে দেয়া হবে।
See lessম্যাগনেটিক পিলার কী বজ্রপাত ভূ-পাতিত করতে পারে?
লিখেছেনঃ জাভেদ ইকবাল। বিষয়টা সম্পূর্ণ ভুয়া। ১। বজ্রপাতের আর্থিং এর জন্য চুম্বক লাগে না, একটা সাধারণ লোহার রড হলেই হয়। ২। ২-৩ ফুট উচু পিলার বজ্রপাতে কোনই কাজে লাগবে না যদি এর আশেপাশে তার চাইতে উচু কিছু থাকে। ৩। ১০০ বছরের পুরানো যে কোন জিনিসের একটা প্রত্নতাত্বিক মূল্য আছে। বিদেশে মিউজিয়াম বা কালেক্টররRead more
লিখেছেনঃ জাভেদ ইকবাল।
বিষয়টা সম্পূর্ণ ভুয়া।
১। বজ্রপাতের আর্থিং এর জন্য চুম্বক লাগে না, একটা সাধারণ লোহার রড হলেই হয়।
২। ২-৩ ফুট উচু পিলার বজ্রপাতে কোনই কাজে লাগবে না যদি এর আশেপাশে তার চাইতে উচু কিছু থাকে।
৩। ১০০ বছরের পুরানো যে কোন জিনিসের একটা প্রত্নতাত্বিক মূল্য আছে। বিদেশে মিউজিয়াম বা কালেক্টররা এগুলি কিনে নিতে পারে। তবে এগুলির কোন চৌম্বকত্ব বা বিশেষ গুন নেই।
৪। ঠগরা এগুলিকে তক্ষকের মতই ফুলিয়ে ফাপিয়ে লোহাকে সোনা করতে পারে ধরণের গল্প বলে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করে।
৫। “আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।” — এই ধরণের কথা দেখলে ইচ্ছা করে এই “কেউ কেউ” এবং সাংবাদিক, দুইটাকেই পিলার দিয়ে পিটাই। (এই কাজে পিলারগুলি খুব চমৎকার কাজ করবে বলে আমার ধারণা)
৬। ছবিটা অনেক আগের একটা খবর থেকে সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।
৭। এই ব্যাটা এই পিলার আর তক্ষক বিক্রি করতো
https://www.daily-bangladesh.com/english/Man-becomes-millionaire-selling-magnetic-coins-pillars-geckos/49141
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী? কিভাবে আক্রান্ত হয় এক জন রুগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে।ভয়ের কোন কারন আছে?
লিখেছে: Drubo Nath ভারতে ইদানীং "ব্ল্যাক ফাঙ্গাস" নামক একটি রোগের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে।সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ভারতে এই মুহূর্তে আট হাজারের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত এবং কমপক্ষে ৯০ জন এই রোগে মারা গিয়েছে।কিন্তু এটি কি এমন রোগ যা মাত্রRead more
লিখেছে: Drubo Nath
ভারতে ইদানীং “ব্ল্যাক ফাঙ্গাস” নামক একটি রোগের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে।সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ভারতে এই মুহূর্তে আট হাজারের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত এবং কমপক্ষে ৯০ জন এই রোগে মারা গিয়েছে।কিন্তু এটি কি এমন রোগ যা মাত্র কদিনের মাঝে মানুষকে ভয় দেখাতে শুরু করেছে?http://www.bbc.com/news/world-asia-india-57217246
Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এর তথ্যানুসারে Black fungus(ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) যাকে Mucormycosis বলা হয় তা হচ্ছে এক ধরণের ছত্রাক জনিত সংক্রমণ যেটি Mucormycetes নামক ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে।এসব mucormycetes ছত্রাকসমূহ পরিবেশের সর্বাংশে , বিশেষ করে মাটিতে থাকে এবং বিভিন্ন জৈব উপাদান যেমন – পাতা, জৈব-সার, পঁচা কাঠ ইত্যাদিকে ক্ষয় করে।
সাধারণত পরিবেশে থাকা ছত্রাকের স্পোরের সংস্পর্শে এসে মানুষ mucormycosis এ আক্রান্ত হয়।উদাহরণস্বরূপ ফুসফুস কিংবা অস্থিকোটরে হওয়া mucormycosis ঘটে বায়ুতে থাকা স্পোরকে মানুষের গ্রহণ করার মাধ্যমে।এছাড়া বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের ভিতর ছত্রাক প্রবেশের মাধ্যমে। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে সক্ষম।
এই Mucormycosis বিভিন্ন ধরণের হতে পারে।
এর মধ্যে Rhinocerebral mucormycosis আছে অস্থিকোটরকে আক্রান্ত করে পরবর্তীতে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরণের mucormycosis সেসব মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায় যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে অথবা অতীতে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে।
Pulmonary mucormycosis সাধারণত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।ক্যান্সার রয়েছে এমন কিংবা অঙ্গ বা স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছিল এমন ব্যক্তির মাঝে বেশি দেখা যায়।
যখন mucormycosis আমাদের দেহের ত্বকে দেখা যায় তাকে Cutaneous mucormycosis বলা হয়।বিভিন্নভাবে ত্বকের আঘাত যেমন- পোড়া বা কাঁটা অংশে ছত্রাক প্রবেশ করে।নিম্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
Disseminated mucormycosis ঘটে যখন সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশ যেমন হৃৎপিন্ড, প্লীহা, মস্তিষ্ক, ত্বক ইত্যাদিতে ছড়িয়ে পড়ে।
সর্বশেষ Gastrointestinal mucormycosis যেটি সাধারণ কমবয়সীদের মাঝে বিশেষ করে শিশুদের বেশি দেখা যায়।https://www.cdc.gov/fungal/diseases/mucormycosis/definition.html
রোগের উপসর্গ সমূহঃ
Rhinocerebral mucormycosis এ মুখের এক অংশে ফুলে যায়,মাথাব্যথা হয়,নাকে বা মুখের ভিতরে উপরের অংশে কালো ক্ষত হওয়া এবং সময়ের সাথে সাথে তা তীব্র হতে থাকে।
Pulmonary mucormycosis এ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়,জ্বর হয়,কফ এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়।
Cutaneous mucormycosis এ আক্রান্ত অংশ কালো হয়ে যায়, ব্যথা থাকে অতিরিক্ত লাল এবং ক্ষতের চারপাশে ফুলে যায়।
Gastrointestinal mucormycosis এর উপসর্গ হলো পেটে ব্যথা,বমি-বমি ভাব,পাকস্থলী এবং অন্ত্রে রক্তক্ষরণ হয়।
যেহেতু Disseminated mucormycosis তাদের ঘটে যারা ইতিপূর্বে অন্যান্য ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই mucormycosis সম্পর্কিত উপসর্গ জানা বেশ কঠিন।https://www.cdc.gov/fungal/diseases/mucormycosis/symptoms.html
Mucormycosis প্রতিরোধের উপায়ঃ
কথায় আছে “prevention is better than cure.”তাই এটিকে প্রতিরোধ করার পথই বেছে নেওয়া উচিত।Mucormycosis কোনো প্রকার ছোঁয়াচে রোগ নয় অর্থাৎ মানুষ কিংবা পশুপাখির মাধ্যমে ছড়ায় না,ছত্রাকের স্পোর দেহে প্রবেশের মাধ্যমে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া এসব স্পোর শরীরে প্রবেশ বন্ধ করা কষ্টকর কারণ mucormycetes ছত্রাকগুলো পরিবেশে প্রায় সর্বাংশে থাকে।তবে কিছু পদ্ধতি আছে যেমন- পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সাথে সংস্পর্শে না আসা।নির্মাণকাজ বা খননকাজ পরিচালিত হচ্ছে এমন জায়গা, মাটি অথবা ধূলাবালির সংস্পর্শ যেমন – মাঠে কাজ,বাগান করা ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।দেহের প্রতিটি অংশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা,মাটি সংলগ্ন জিনিসপত্রের হাত দিয়ে ছোঁয়ার আগে গ্লাভস ব্যবহার করা ত্বকের সংক্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ইত্যাদি।এছাড়া যারা অতিরিক্ত ঝুঁকিতে থাকে তারা চিকিৎসক কতৃক এন্টি-ফাঙ্গাল মেডিকেশন নিতে পারে।https://www.cdc.gov/fungal/diseases/mucormycosis/risk-prevention.html
Mucormycosis এর সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে জানতে একটু ঢুঁ মেরে আসতে পারেন এখানেhttps://www.cdc.gov/fungal/diseases/mucormycosis/treatment.html
তবে কোভিড-১৯ এর সাথে এর কি সম্পর্ক?
ভারতে এখন পর্যন্ত যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দেখা গেছে অধিকাংশই হয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা কিছুদিন আগেই হয়তো করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে। বিষয়টা ঠিক এমন সুস্থ হয়ে ওঠার পরও অনেকের ইমিউন সিস্টেম অনেকটা দুর্বল থাকে আর এমন মানুষরাই Mucormycosis এ আক্রান্ত হয়েছেন।আর শুধু কোভিভ আক্রান্তরা নয় ডায়াবেটিক রোগীরা ,যারা স্টেরয়েড গ্রহণ করে এবং ক্যান্সার কিংবা অঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট এর মতো জটিলতা আছে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তাছাড়া বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর পর নতুন ধরণের সাদা ছত্রাক কিংবা হোয়াট ফাঙ্গাস দেখা দিয়েছে।তবে এ সম্পর্কে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য কিংবা গবেষণা নেই।
See lessআবহাওয়া বিষয়ক প্রশ্ন।
লিখেছে: Redwan Ali জুনের ১৮-২৬ তারিখ পর্যন্ত কর্কট ক্রান্তি রেখায় সূর্য সরাসরি কিরণ দেয়,,,আর মকরক্রান্তিতে তীর্যকভাবে,,,, ডিসেম্বরের ২০-২৫ তারিখ ঠিক এর উল্টো,,,,তাই সব সময় ইকুয়েটরেই সূর্য বেশী তাপ দেয় এমন ভাবা টা ভুল
লিখেছে: Redwan Ali
জুনের ১৮-২৬ তারিখ পর্যন্ত কর্কট ক্রান্তি রেখায় সূর্য সরাসরি কিরণ দেয়,,,আর মকরক্রান্তিতে তীর্যকভাবে,,,,
See lessডিসেম্বরের ২০-২৫ তারিখ ঠিক এর উল্টো,,,,তাই সব সময় ইকুয়েটরেই সূর্য বেশী তাপ দেয় এমন ভাবা টা ভুল
আবহাওয়া বিষয়ক প্রশ্ন।
লিখেছে: পার্থ অনেক বড় বিষয়। একটু গোড়া থেকে সংক্ষিপ্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করছি, কোথাও বুঝতে না পারলে বলবে: 1.নিরক্ষিয় অঞ্চলে উষ্ণতা সারাবছর তুলনামূলক বেশি (গড় বার্ষিক উষ্ণতা 27℃) ও জলভাগের আধিক্য থাকার কারনে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্পের শৃষ্টি হয় ও তার সাথে বৃষ্টিপাতের অন্যান্য উপাদানগুলো(বৃষ্টিপাতেRead more
লিখেছে: পার্থ
অনেক বড় বিষয়। একটু গোড়া থেকে সংক্ষিপ্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করছি, কোথাও বুঝতে না পারলে বলবে:
1.নিরক্ষিয় অঞ্চলে উষ্ণতা সারাবছর তুলনামূলক বেশি (গড় বার্ষিক উষ্ণতা 27℃) ও জলভাগের আধিক্য থাকার কারনে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্পের শৃষ্টি হয় ও তার সাথে বৃষ্টিপাতের অন্যান্য উপাদানগুলো(বৃষ্টিপাতের প্রধান দুটি উপাদান a•জলীয় বাষ্পপূর্ন মেঘ, b•একে শিতল করার উপকরণ) সঠিক পরিমানে মজুত থাকায় জলীয় বাষ্প শৃষ্ট অঞ্চলের মধ্যেই বৃষ্টিপাত ঘটায় যাকে বলে পরিচলন বৃষ্টিপাত।
এবার আসি কেন পরিচলন বৃষ্টিপাত নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যেই ঘটে সেই প্রশ্নে বা এর এইরূপ বৈশিষ্টের কারন: নিরক্ষিয় অঞ্চলে(mainly 5°N to 5°S) বায়ু উষ্ণ ও হালকা হওয়ার জন্য সারাবছরই বায়ুর উর্ধ্বগমন ঘটে (সারা বছর উষ্ণ ও আর্দ্র ঋতু, ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় না) যার ফলে ভূপৃষ্ঠের সাথে সমান্তরাল বায়ুপ্রবাহ দেখা যায় না বললেই চলে (যার জন্য একে বলে নিরক্ষীয় শান্তবলয়/Doldrums) তাই পাশাপাশি মেঘ/জলীয় বাষ্পের বিক্ষেপ ঘটে না, যেখানের মেঘ সেখানেই বৃষ্টিপাত ঘটায়।
2.মেঘ কোথায় ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটাবে সেটা নির্ভর করে কতগুলি নিয়ন্ত্রকের উপর, যেমন- উষ্ণতা, বায়ুপ্রবাহ, উচ্চতা, ভূ-প্রকৃতি, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ইত্যাদির উপর। তাই এত বড় অঞ্চলের(15°N to 15°S) ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকগুলির পার্থক্যের জন্য কোনও একটা দূরত্ব নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না যে মেঘ কত দূর পর্যন্ত যাবে। তবে এটা বলা যেতে পারে, এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগটাই পরিচলন প্রকৃতির হওয়ায় বা বায়ুর উর্ধ্বগতির ফলে জলীয় বাষ্প দ্রুত উপরে উঠে ঠান্ডা হয়ে ঘনীভূত হওয়ায়, যে অঞ্চলের মেঘ সেই অঞ্চলের মধ্যেই বৃষ্টিপাত ঘটায়।
See lessআকস্মিক শীতল স্পর্শে মূত্র ত্যাগের অনুভূতি জাগে কেন?
লিখেছে: Mahabuba Rahman Parasympathetic nervous system আমাদের শরীরের সকল মাসল এবং স্ফিংটার (অর্থাৎ মুত্রনালীর ছিদ্র, মলদ্বারের ছিদ্র) ইত্যাদিকে রিল্যাক্স করে। অর্থাৎ প্রস্বাব হওয়া- এই ঘটনাটা ঘটায় প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভ। এখন যদি আপনার শীতল স্পর্শে বা পানির স্পর্শে মূত্রত্যাগের অনুভূতি জাগে তাহলে হতেRead more
লিখেছে: Mahabuba Rahman
Parasympathetic nervous system আমাদের শরীরের সকল মাসল এবং স্ফিংটার (অর্থাৎ মুত্রনালীর ছিদ্র, মলদ্বারের ছিদ্র) ইত্যাদিকে রিল্যাক্স করে। অর্থাৎ প্রস্বাব হওয়া- এই ঘটনাটা ঘটায় প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভ। এখন যদি আপনার শীতল স্পর্শে বা পানির স্পর্শে মূত্রত্যাগের অনুভূতি জাগে তাহলে হতে পারে শীতল স্পর্শে বা পানির স্পর্শে আপনার খুব রিল্যাক্সড লাগে ফলে প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম স্টিমুলাস পায়।
See lessআকস্মিক শীতল স্পর্শে মূত্র ত্যাগের অনুভূতি জাগে কেন?
লিখেছে: Mahdi Islam Prince আকষ্মিক ঠান্ডা বা শীতল কোনো কিছুর কন্টিনিউয়াস স্পর্শে বডি টেম্পারেচার প্রিজার্ভ করতে শরীরের সার্ফেসের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে পাম্প করা সকল রক্ত ভেতরের ভাইটাল অর্গানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিডনিও তার মধ্যে একটি। কিডনীতে রক্ত প্রবাহ যত বেশি হবে, মূত্রতৈরীও তত বেশি হRead more
লিখেছে: Mahdi Islam Prince
আকষ্মিক ঠান্ডা বা শীতল কোনো কিছুর কন্টিনিউয়াস স্পর্শে বডি টেম্পারেচার প্রিজার্ভ করতে শরীরের সার্ফেসের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়।
ফলে পাম্প করা সকল রক্ত ভেতরের ভাইটাল অর্গানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিডনিও তার মধ্যে একটি।
কিডনীতে রক্ত প্রবাহ যত বেশি হবে, মূত্রতৈরীও তত বেশি হবে। আর মূত্র যত বেশি তৈরী হবে, ব্লাডারে ততবেশি জমা হবে।
আর আরেকটা ব্যাপার হলো কোল্ড ওয়েদারে শরীরের পেশিগুলো কিছুটা স্টিফ হয়ে যায়। (এরও লম্বা চওড়া কারণ আছে। ইনশর্ট বললে তাপ তৈরি করার জন্যে)। ব্লাডারের পেশিতেও সেইম কন্ডিশন হয়। ব্লাডারের পেশি টাইট হওয়ায় ব্লাডারের ভেতরের প্রেশার বেড়ে যায়।
ফলাফলঃ মূত্রত্যাগের ইচ্ছা জাগ্রত হওয়া৷
মেডিকেল সাইন্সে এটাকে আদর করে Cold Diuresis বলা হয়। Di=দুই + uresis= মূত্র তৈরী হওয়া।
আরেকটা মজার বিষয় হলো, পানির স্রোত বা পানি পড়ার শব্দও অনেকের মধ্যে মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগ্রত করে।
যদিও এটার এক্সাক্ট কোনো ব্যাখ্যা সাইন্টিফ্যালি ইস্টাব্লিশ করা যায়নাই, তবে মূত্র প্রবাহের শব্দের সাথে পানির প্রবাহের শব্দের মিল আছে বলে শিখন প্রক্রিয়ায় পানি প্রবাহের শব্দের সাথে মূত্রত্যাগের ইচ্ছার একটা সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তৈরী হয়। খুব কম্পলেক্স ব্যাখ্যা আছে এটার। বাট ইনশর্ট এতোটুকু জানলেই ইনাফ।
See lessপর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কী মস্তিষ্ক নিজেকেই নিজে ভক্ষণ করে?
"Lack of sleep causes the brain to eat itself?" (সত্যতা যাচাই) লিখেছে: Trs Tanvir Ahmed কিছুদিন ধরে একটা ইনফোগ্রাফ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে বলা হচ্ছে "Lack of sleep cause the brain eat itself" এটার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্রেইন নিজেকে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে! কথাটা শুনRead more
“Lack of sleep causes the brain to eat itself?”
(সত্যতা যাচাই)
লিখেছে: Trs Tanvir Ahmed
কিছুদিন ধরে একটা ইনফোগ্রাফ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে বলা হচ্ছে “Lack of sleep cause the brain eat itself”
এটার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্রেইন নিজেকে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে! কথাটা শুনে নিশ্চই চমকে উঠেছেন? এ আবার কিভাবে সম্ভব! এমনটা সম্ভব বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। Michele Bellesi, Luisa de Vivo, Mattia Chini, Francesca Gilli, Giulio Tononi এবং Chiara Cirelli.
এই ৬ জন বিজ্ঞানী ২০১৭ সালের ২৪ মে, The Journal of Neuroscience এ নিয়ে তাদের রিসার্চ পেপার পাবলিশ করে। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে তারা যে ফলাফল পান এবং কিভাবে এটি হয় সে বিষয়ে একটু খোলাসা করে বলছি।
আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য নিউরন, সিন্যাপস,নিউরনকে সাপোর্ট দেয়া চার ধরনের গ্লিয়াল সেল বিদ্যমান এটা তো আমরাই সবাই জানি, ঠিক? নিচে তৃতীয় ছবিতে এই চার ধরনের গ্লিয়াল সেলের চিত্র আছে।
প্রতিদিন আমাদের দেহে লক্ষ লক্ষ কোষের মৃত্যু হচ্ছে আবার লক্ষ লক্ষ কোষ তৈরীও হচ্ছে। মৃত কোষ/টিস্যু কে বলা হয় ডেবরিস। আবার আমরা জানি আমাদের দেহে প্রতিদিন মেটাবলিজমে হাজারো বিক্রিয়া হয়। এসব বিক্রিয়ায় কিছু বাই প্রোডাক্ট তৈরি হয়। যেমন ব্রেইনে তৈরি হয় এডেনোসিন। বাই প্রোডাক্টকে ধরতে পারেন একপ্রকার আবর্জনা। তো এইযে ডেবরিস এবং বাই প্রোডাক্ট মস্তিষ্কে তৈরি হলো এগুলো তো দূর করতে হবে তাইনা? এই কাজটা করে Astrocytes নামক এক প্রকার গ্লিয়াল সেল। এদের কাজ মস্তিষ্ক থেকে ডেবরিস, বাই প্রোডাক্ট এগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করা। যে প্রক্রিয়ার এই কাজ করে তাকে বলে ফ্যাগোসাইটোসিস অব এস্ট্রোসাইট। এই কাজটা যখন আমরা ঘুমাই তখন সম্পন্ন হয়।
এখন পোস্টের শুরুর দিকে কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম বলেছিলাম, এখন তাদের এক্সপেরিমেন্টের কথা বলি। তারা তিন প্রকারের ইঁদুর নিয়ে গবেষণা করেছেন।
•যে ইঁদুর ৮ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ ঘন্টার মত ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায় নি।
দেখা গেলো যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায়নি তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ যেখানে যে ইঁদুর দিনে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছে তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ।
এখন Astrocytes বেশি থাকলে ক্ষতি কী প্রশ্ন আসছে মনে তাই না? Astrocytes বেশি থাকলে বেশি ফ্যাগোসাইটোসিস হবে। ফলে সে অনেক বেশি সিন্যাপস(এক নিউরনের সাথে আরেক নিউরনের সংযোগ) কেটে ফেলবে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কের নিজের Astrocyte কোষ মস্তিষ্কের সিন্যাপস কে খেয়ে ফেলাকে বলা হয়েছে Brain Eats Itself.
এখন যারা কম ঘুমায় তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হবে এমনকি গবেষকদল বলেছেন অ্যালজিমা রোগ ও হতে পারে।
আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি। সবশেষে কথা হলো ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষা মানুষের ক্ষেত্রে খাটবে কি-না? জি খাটবে। কারণ ইঁদুর ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। তাছাড়া ইঁদুরের মস্তিষ্কের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যাপক মিল আছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কেও নিউরন, এস্ট্রোসাইট রয়েছে ঠিক মানুষের মতই।
তথ্যসূত্রঃ
1)https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5946929/?fbclid=IwAR3iHpGE1E173MJZD-ZSvi0VVOhqI1phQAylPNWRh7i71zeG7FU8v4DYeto
2)https://www.sciencealert.com/your-brain-starts-eating-itself-due-to-lack-of-sleep
3)https://www.jneurosci.org/content/37/21/5263
See less