Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞানের প্রশ্ন এবং উত্তর বিষয়ক ওয়েইসাইটে লগইন করুন।
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আবহাওয়া বিষয়ক প্রশ্ন।
লিখেছে: পার্থ অনেক বড় বিষয়। একটু গোড়া থেকে সংক্ষিপ্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করছি, কোথাও বুঝতে না পারলে বলবে: 1.নিরক্ষিয় অঞ্চলে উষ্ণতা সারাবছর তুলনামূলক বেশি (গড় বার্ষিক উষ্ণতা 27℃) ও জলভাগের আধিক্য থাকার কারনে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্পের শৃষ্টি হয় ও তার সাথে বৃষ্টিপাতের অন্যান্য উপাদানগুলো(বৃষ্টিপাতেRead more
লিখেছে: পার্থ
অনেক বড় বিষয়। একটু গোড়া থেকে সংক্ষিপ্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করছি, কোথাও বুঝতে না পারলে বলবে:
1.নিরক্ষিয় অঞ্চলে উষ্ণতা সারাবছর তুলনামূলক বেশি (গড় বার্ষিক উষ্ণতা 27℃) ও জলভাগের আধিক্য থাকার কারনে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্পের শৃষ্টি হয় ও তার সাথে বৃষ্টিপাতের অন্যান্য উপাদানগুলো(বৃষ্টিপাতের প্রধান দুটি উপাদান a•জলীয় বাষ্পপূর্ন মেঘ, b•একে শিতল করার উপকরণ) সঠিক পরিমানে মজুত থাকায় জলীয় বাষ্প শৃষ্ট অঞ্চলের মধ্যেই বৃষ্টিপাত ঘটায় যাকে বলে পরিচলন বৃষ্টিপাত।
এবার আসি কেন পরিচলন বৃষ্টিপাত নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যেই ঘটে সেই প্রশ্নে বা এর এইরূপ বৈশিষ্টের কারন: নিরক্ষিয় অঞ্চলে(mainly 5°N to 5°S) বায়ু উষ্ণ ও হালকা হওয়ার জন্য সারাবছরই বায়ুর উর্ধ্বগমন ঘটে (সারা বছর উষ্ণ ও আর্দ্র ঋতু, ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় না) যার ফলে ভূপৃষ্ঠের সাথে সমান্তরাল বায়ুপ্রবাহ দেখা যায় না বললেই চলে (যার জন্য একে বলে নিরক্ষীয় শান্তবলয়/Doldrums) তাই পাশাপাশি মেঘ/জলীয় বাষ্পের বিক্ষেপ ঘটে না, যেখানের মেঘ সেখানেই বৃষ্টিপাত ঘটায়।
2.মেঘ কোথায় ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটাবে সেটা নির্ভর করে কতগুলি নিয়ন্ত্রকের উপর, যেমন- উষ্ণতা, বায়ুপ্রবাহ, উচ্চতা, ভূ-প্রকৃতি, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ইত্যাদির উপর। তাই এত বড় অঞ্চলের(15°N to 15°S) ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকগুলির পার্থক্যের জন্য কোনও একটা দূরত্ব নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না যে মেঘ কত দূর পর্যন্ত যাবে। তবে এটা বলা যেতে পারে, এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগটাই পরিচলন প্রকৃতির হওয়ায় বা বায়ুর উর্ধ্বগতির ফলে জলীয় বাষ্প দ্রুত উপরে উঠে ঠান্ডা হয়ে ঘনীভূত হওয়ায়, যে অঞ্চলের মেঘ সেই অঞ্চলের মধ্যেই বৃষ্টিপাত ঘটায়।
See lessআকস্মিক শীতল স্পর্শে মূত্র ত্যাগের অনুভূতি জাগে কেন?
লিখেছে: Mahdi Islam Prince আকষ্মিক ঠান্ডা বা শীতল কোনো কিছুর কন্টিনিউয়াস স্পর্শে বডি টেম্পারেচার প্রিজার্ভ করতে শরীরের সার্ফেসের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে পাম্প করা সকল রক্ত ভেতরের ভাইটাল অর্গানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিডনিও তার মধ্যে একটি। কিডনীতে রক্ত প্রবাহ যত বেশি হবে, মূত্রতৈরীও তত বেশি হRead more
লিখেছে: Mahdi Islam Prince
আকষ্মিক ঠান্ডা বা শীতল কোনো কিছুর কন্টিনিউয়াস স্পর্শে বডি টেম্পারেচার প্রিজার্ভ করতে শরীরের সার্ফেসের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়।
ফলে পাম্প করা সকল রক্ত ভেতরের ভাইটাল অর্গানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিডনিও তার মধ্যে একটি।
কিডনীতে রক্ত প্রবাহ যত বেশি হবে, মূত্রতৈরীও তত বেশি হবে। আর মূত্র যত বেশি তৈরী হবে, ব্লাডারে ততবেশি জমা হবে।
আর আরেকটা ব্যাপার হলো কোল্ড ওয়েদারে শরীরের পেশিগুলো কিছুটা স্টিফ হয়ে যায়। (এরও লম্বা চওড়া কারণ আছে। ইনশর্ট বললে তাপ তৈরি করার জন্যে)। ব্লাডারের পেশিতেও সেইম কন্ডিশন হয়। ব্লাডারের পেশি টাইট হওয়ায় ব্লাডারের ভেতরের প্রেশার বেড়ে যায়।
ফলাফলঃ মূত্রত্যাগের ইচ্ছা জাগ্রত হওয়া৷
মেডিকেল সাইন্সে এটাকে আদর করে Cold Diuresis বলা হয়। Di=দুই + uresis= মূত্র তৈরী হওয়া।
আরেকটা মজার বিষয় হলো, পানির স্রোত বা পানি পড়ার শব্দও অনেকের মধ্যে মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগ্রত করে।
যদিও এটার এক্সাক্ট কোনো ব্যাখ্যা সাইন্টিফ্যালি ইস্টাব্লিশ করা যায়নাই, তবে মূত্র প্রবাহের শব্দের সাথে পানির প্রবাহের শব্দের মিল আছে বলে শিখন প্রক্রিয়ায় পানি প্রবাহের শব্দের সাথে মূত্রত্যাগের ইচ্ছার একটা সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তৈরী হয়। খুব কম্পলেক্স ব্যাখ্যা আছে এটার। বাট ইনশর্ট এতোটুকু জানলেই ইনাফ।
See lessপর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে কী মস্তিষ্ক নিজেকেই নিজে ভক্ষণ করে?
"Lack of sleep causes the brain to eat itself?" (সত্যতা যাচাই) লিখেছে: Trs Tanvir Ahmed কিছুদিন ধরে একটা ইনফোগ্রাফ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে বলা হচ্ছে "Lack of sleep cause the brain eat itself" এটার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্রেইন নিজেকে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে! কথাটা শুনRead more
“Lack of sleep causes the brain to eat itself?”
(সত্যতা যাচাই)
লিখেছে: Trs Tanvir Ahmed
কিছুদিন ধরে একটা ইনফোগ্রাফ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে বলা হচ্ছে “Lack of sleep cause the brain eat itself”
এটার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ব্রেইন নিজেকে নিজেই খেয়ে ফেলতে পারে! কথাটা শুনে নিশ্চই চমকে উঠেছেন? এ আবার কিভাবে সম্ভব! এমনটা সম্ভব বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। Michele Bellesi, Luisa de Vivo, Mattia Chini, Francesca Gilli, Giulio Tononi এবং Chiara Cirelli.
এই ৬ জন বিজ্ঞানী ২০১৭ সালের ২৪ মে, The Journal of Neuroscience এ নিয়ে তাদের রিসার্চ পেপার পাবলিশ করে। ইঁদুরের উপর গবেষণা করে তারা যে ফলাফল পান এবং কিভাবে এটি হয় সে বিষয়ে একটু খোলাসা করে বলছি।
আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য নিউরন, সিন্যাপস,নিউরনকে সাপোর্ট দেয়া চার ধরনের গ্লিয়াল সেল বিদ্যমান এটা তো আমরাই সবাই জানি, ঠিক? নিচে তৃতীয় ছবিতে এই চার ধরনের গ্লিয়াল সেলের চিত্র আছে।
প্রতিদিন আমাদের দেহে লক্ষ লক্ষ কোষের মৃত্যু হচ্ছে আবার লক্ষ লক্ষ কোষ তৈরীও হচ্ছে। মৃত কোষ/টিস্যু কে বলা হয় ডেবরিস। আবার আমরা জানি আমাদের দেহে প্রতিদিন মেটাবলিজমে হাজারো বিক্রিয়া হয়। এসব বিক্রিয়ায় কিছু বাই প্রোডাক্ট তৈরি হয়। যেমন ব্রেইনে তৈরি হয় এডেনোসিন। বাই প্রোডাক্টকে ধরতে পারেন একপ্রকার আবর্জনা। তো এইযে ডেবরিস এবং বাই প্রোডাক্ট মস্তিষ্কে তৈরি হলো এগুলো তো দূর করতে হবে তাইনা? এই কাজটা করে Astrocytes নামক এক প্রকার গ্লিয়াল সেল। এদের কাজ মস্তিষ্ক থেকে ডেবরিস, বাই প্রোডাক্ট এগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করা। যে প্রক্রিয়ার এই কাজ করে তাকে বলে ফ্যাগোসাইটোসিস অব এস্ট্রোসাইট। এই কাজটা যখন আমরা ঘুমাই তখন সম্পন্ন হয়।
এখন পোস্টের শুরুর দিকে কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম বলেছিলাম, এখন তাদের এক্সপেরিমেন্টের কথা বলি। তারা তিন প্রকারের ইঁদুর নিয়ে গবেষণা করেছেন।
•যে ইঁদুর ৮ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ ঘন্টার মত ঘুমিয়েছে।
•যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায় নি।
দেখা গেলো যে ইঁদুর ৫ দিন ঘুমায়নি তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ যেখানে যে ইঁদুর দিনে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছে তার মস্তিষ্কে Astrocytes এর পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ।
এখন Astrocytes বেশি থাকলে ক্ষতি কী প্রশ্ন আসছে মনে তাই না? Astrocytes বেশি থাকলে বেশি ফ্যাগোসাইটোসিস হবে। ফলে সে অনেক বেশি সিন্যাপস(এক নিউরনের সাথে আরেক নিউরনের সংযোগ) কেটে ফেলবে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কের নিজের Astrocyte কোষ মস্তিষ্কের সিন্যাপস কে খেয়ে ফেলাকে বলা হয়েছে Brain Eats Itself.
এখন যারা কম ঘুমায় তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হবে এমনকি গবেষকদল বলেছেন অ্যালজিমা রোগ ও হতে পারে।
আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি। সবশেষে কথা হলো ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষা মানুষের ক্ষেত্রে খাটবে কি-না? জি খাটবে। কারণ ইঁদুর ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। তাছাড়া ইঁদুরের মস্তিষ্কের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যাপক মিল আছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কেও নিউরন, এস্ট্রোসাইট রয়েছে ঠিক মানুষের মতই।
তথ্যসূত্রঃ
1)https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5946929/?fbclid=IwAR3iHpGE1E173MJZD-ZSvi0VVOhqI1phQAylPNWRh7i71zeG7FU8v4DYeto
2)https://www.sciencealert.com/your-brain-starts-eating-itself-due-to-lack-of-sleep
3)https://www.jneurosci.org/content/37/21/5263
See less